স্টাফ রিপোর্টার : পরিবারের একমাত্র চলাচলের মাধ্যম ডিস ব্যবসাকে একটি কুচক্রি মহল দখলের পায়তারা এবং স্বামীকে বিভিন্নভাবে হুমকী প্রদানের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন সংস্থায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মোসা.আলেয়া আক্তার নামে এক গৃহবধু।
এনসিসি ১৯ নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ শান্তিনগরের বাসিন্দা মো.দুলাল মিয়ার স্ত্রী আলেয়া আক্তার জেলা পুলিশ সুপার,প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও আইন মন্ত্রনালয়ে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, তার স্বামীর ডিস লাইনের ব্যবসা ইতিপুর্বে ৩ ভাগ বিভিন্ন সময়ে কৌশল অবলম্বন করে কুচক্রি মহল বিভিন্নভাবে তাদের দখলে নিয়ে নেয়। অবশিষ্ট অংশটুকুও জোড়পুর্বক দখলের চেষ্টায় আমাকে বিভিন্নভাবে লাগাতার হয়রানী করে যাচ্ছে। ইতিপুর্বে সেই কুচক্র মহলটি কিছু পুলিশের সোর্সের মাধ্যমে পুলিশ ও র্যাব-১১’র টিম নিয়ে মিথ্যা তথ্যপ্রদান করে আমার পুরো বাড়িঘর তল্লাশী চালায়। এবং কিছু না পেয়ে আগত প্রশাসনের লোকজন স্থানীয়দের উপস্থিতিতে কথিত সেই সোর্সকে বেদম প্রহার করে। এ বিষয়ে গত বছরের ২২ জুলাই বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। তারপরও সাকিব নামে এক পুলিশ সোর্স বিভিন্ন মুঠোফোন নম্বর দিয়ে হাজিপুর রেললাইন এলাকায় গিয়ে ঈদ বখশিস হিসেবে কিছু টাকা নিয়ে সেখানে দেখা করতে বলে। নতুবা মাদক দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকী দেয়। না দিলে বাকী ডিস লাইনের ব্যবসাটুকু শেষ করে দিবে বলে হুমকী দেয়। আলেয়া আক্তার তার অভিযোগ পত্রে আরও উল্লেখ করেন যে,তার স্বামীকে মোবাইল চুরির মামলায় ফাসিয়ে দিবে বলে হুমকী দেয়। এ বিষয় নিয়ে আমরা খুবই আতংকে দিন কাটাচ্ছি।
সরেজমিনে এনসিসি ১৯ নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ শান্তিনগরে গিয়ে হাজির হয়ে গনমাধ্যমকর্মীরা জানতে পায় পুরো ঘটনাটির জন্য একজন বিশষ পেশার ব্যক্তিকে নিয়ে মদনগঞ্জের এক মাদক সম্রাট সালাউদ্দিনই সকল কিছুর মুলহোতা। স্থানীয়দের পাশাপাশি এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির সাধারন সম্পাদকও বলেন,পুরো বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট। সেই চক্রটি দুলালের ডিস ব্যবসা তাদের আয়ত্বে নিয়ে দুলালের পুরো পরিবারকে পথে নামানোর একটি মিশনে নেমেছেন।
Array