নিজস্ব প্রতিবেদকঃআজকের তথ্যচিএঃ
শহরজুড়ে চলছে কিশোর গ্যাং এর উৎপাত। তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা কেউ। প্রতিনিয়ত তাদের দ্বারা কেউনা কেউ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। কিশোর গ্যাং নির্মূলে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় প্রতিটি এলাকায় চলছে পুলিশের কড়া নজরদারী। তবে এ নজরদারী থেকে দূরে রয়েছে কিছু এলাকা। এর মধ্যে ইসদাইর বাজার, ইসদাইর বুড়ির দোকান, কাপড় পট্টি, নিউ চাষাড়া বাস্তহারা বস্তি, গলাচিপা বোয়ালিয়া খাল, মাসদাইর ঘোষেরবাগ, লিচুবাগ, পতেঙ্গার মোড়, বাড়ৈভোগ, গাইবান্ধা বাজার, মিস্ত্রিবাগ অন্যতম। কারন এসব এলাকাগুলোতে কিশোর গ্যাং সহ মাদকের উৎপাত বেশী রয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
ইদানীংকালে কিশোর গ্যাং এর উৎপাত সহ মাদকের ভয়াবহতা বেড়ে গিয়েছে। যার ফলে গত ৬ এপ্রিল মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ইসদাইর বাজার সংলগ্ন এলাকায় শামীমকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। শামীম হত্যাকান্ডের জের ধরে তার সহযোগীরা এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করেছে। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এ সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যারা জড়িত তাদের মূলহোতা হচ্ছে কেছড়া মানিক। সে হচ্ছে নিহত শামীমের খালাতো ভাই। তার অপর এক সহযোগীর নাম হলো বিলকিস এর স্বামী জাহিদ। ২০২১ সালে ২৮ জুন রাতে মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত রুবেল হত্যাকান্ডের আসামী হচ্ছে কেছড়া মানিক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। প্রতিদিনই তারা বিভিন্ন দোকান থেকে চাঁদা তুলে। এছাড়াও তারা ছিনতাই কর্মকান্ডেও জড়িত রয়েছে। প্রশসানের কাছে আমাদের দাবী অতিসত্বর তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় হোক।
সূত্রে জানা গেছে, পতেঙ্গার মোড়ের কিশোর গ্যাং এর গ্রুপ লিডার সাঈদ, গুদারাঘাটে পারভেজ, সাবু, ঘোষেরবাগের সাব্বির, ইসদাইরে খায়রুল, তালা ফ্যাক্টরির রাসেল, মাসদাইর বাজারের কসাই শাওন। সাধারণ জনগণ এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।