নিউজ ডেস্ক:বেসরকারি ব্যবস্থাপনার অধিকাংশ হজযাত্রীদের জন্য এখনো মক্কাণ্ডমদিনায় বাড়িভাড়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে হজযাত্রীদের ফ্লাইট বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মূলত এখনো সরকারি অনুমতিপত্র (তাসরিয়া) না পাওয়ায় সউদী আরবের হোটেল-বাড়িগুলো ভাড়া করতে পারছে না হজ এজেন্সির মালিকরা। আজ থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সেজন্য নির্ধারিত ফ্লাইটও রয়েছে। কিন্তু এবার সবকিছুই দেরিতে শুরু হওয়ায় এজেন্সি মালিকদের আইবিএনএ নাম্বার পেতে দেরি হয়। বর্তমানে মোয়াল্লেম চুক্তি ও বাড়ি-হোটেল ভাড়া করতে বেশিরভাগ হজ এজেন্সি মালিক সউদী আরবে অবস্থান করছে। বেসরকারি হজযাত্রী ব্যবস্থাপনাকারীদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, এবার মোট ৩৫৯টি এজেন্সির মাধ্যমে হজযাত্রীরা সউদী আরবে যাচ্ছে। তার মধ্যে প্রায় ৩শ এজেন্সি মালিক বর্তমানে সউদী আরবে রয়েছে। যারা এখন হোটেল-বাড়ি ভাড়ার জন্য বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভাড়ার জন্য হোটেলে গেলে জানানো হচ্ছে তারা এখনো হাজীদের রাখতে সউদী সরকারের অনুমতি বা তাসরিয়া পাননি। সেজন্য হজ এজেন্সির মালিকরা বাড়িভাড়া করতে পারছে না। তাছাড়া রিয়ালের মূল্য নিয়েও এজেন্সি মালিকরা বিপাকে পড়েছে। সরকার সউদী রিয়ালের মূল্য ২৪ টাকা ৩০ পয়সা ধরলেও তা বর্তমানে ২৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৭০ পয়সা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাতে এজেন্সি মালিকদের অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতির স্বীকার হচ্ছেন এজেন্সি মালিকরা। এমন পরিস্থিতিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হজযাত্রীদের সউদী আরবে যেতে দেরি হতে পারে। তাতে হজ ফ্লাইট বিলম্ব হয়ে ফ্লাইট বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
সূত্র জানায়, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই পবিত্র হজ পালিত হবে। সেজন্য গত ৫ জুন থেকে বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮ শতাধিক হজযাত্রী সউদী আরবের জেদ্দায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ বিমানে যাওয়া ওসব যাত্রীদের সবাই সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গেছে।
এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, হজযাত্রীদের নিয়ে যাওয়া বিশেষ ফ্লাইটে সামনের দিকের বিজনেস ক্লাসে বসতে চাইলে অতিরিক্তি ২৫০ ডলার বা প্রায় ২৩ হাজার টাকা গুনতে হবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ তাহেরা খন্দকারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনেক হজ যাত্রীদের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হজ ফ্লাইটগুলোর সামনের সারিতে থাকা সীমিত সংখ্যক আসনে বসার আগ্রহ ও চাহিদা দেখা যায়। তাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এ সামনের সিটগুলো ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে বরাদ্দ দিচ্ছে। সম্মুখ কেবিনের আসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ থেকে শুধু যাওয়ার ক্ষেত্রে জনপ্রতি ১৫০ মাকিন ডলার অথবা সমপরিমাণ বাংলাদেশি টাকা (১৩ হাজার ৫০০) এবং যাওয়া ও আসার ক্ষেত্রে (একসাথে) ২৫০ মার্কিন অথবা সমপরিমাণ টাকা (২৩ হাজার) পরিশোধ করতে হবে।
Array