নিউজ ডেস্ক:‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়ামাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাকা’ অর্থাৎ হাজির, হে আল্লাহ! আমি হাজির, আপনার কোনও শরিক নেই, আপনার মহান দরবারে হাজির, নিশ্চয়ই সব প্রশংসা, নিয়ামত এবং সব রাজত্ব আপনারই; আপনার কোনও শরিক নেই- এ তালবিয়া পাঠ করতে করতে লাখ লাখ হাজি শুক্রবার (৯ জিলহজ) আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হবেন। আবেগে কম্পিত হৃদয়ে হজের দ্বিতীয় রুকন আদায় করবেন তারা।
বৃহস্পতিবার তাবুর শহর বলে পরিচিত ঐতিহাসিক মিনায় অবস্থান করেছিলেন প্রায় ১০ লাখ হাজি। সেখানে তারা জোহর, আসর, মাগরিব ও ফজরের নামাজ আদায় করেছেন। এরপরই হজের দ্বিতীয় প্রধান রুকন আদায়ের জন্য আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে যাত্রা করেন। মূলত ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজ।
নিয়ম অনুযায়ী, জোহরের নামাজের আগে আরাফাত ময়দানের মসজিদে নামিরার মিম্বরে দাঁড়িয়ে হাজিদের উদ্দেশে হজের খুতবা দেওয়া হয়। এই খুতবায় আল্লাহভীতি ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ব্যাপারে কথা বলা হয়। শুক্রবার হওয়ায় জুমার নামাজের আগে দেওয়া হবে এই খুতবা। নিয়ম অনুযায়ী, আরবিতে দেওয়া হয় এই খুতবা। এবার বাংলা ছাড়া আরও ১৩টি ভাষায় হজের খুতবা সম্প্রচার করা হবে।
জুমা ও আসরের নামাজ একসঙ্গে আরাফাতের ময়দানে আদায় করবেন হাজিরা। এরপর সেখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান অবস্থান করবেন। সূর্যাস্তের পর হাজিরা আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করে যাত্রা করবেন মুজদালিফার উদ্দেশে। সেখানে তারা এক আজানে আদায় করবেন মাগরিব ও এশার নামাজ।
বৃহস্পতিবার আরব নিউজ জানিয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ হাজিদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে। সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাজিদের চিকিৎসার জন্য ইসলামের দুই পবিত্র শহর মক্কা ও মদিনায় ২৩টি হাসপাতাল এবং ১৪৭টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে। মিনায় হাজিদের চিকিৎসার জন্য চারটি হাসপাতাল ও ২৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন রোগীদের জন্য এক হাজারেরও বেশি শয্যা রয়েছে।
Array