• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • নারী ও মানবাধিকারের রাজনীতি বেছে নিতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী 

     admin 
    11th Aug 2022 2:45 am  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিউজ ডেস্ক:যে রাজনীতি নারীর পক্ষে, মানুষের পক্ষে, মানবাধিকারের পক্ষে, সে রাজনীতি বেছে নিতে হবে। যে রাজনীতি নারীর অধিকারের স্বীকৃতি দেয় না, তার কোনো দরকার নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

    রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত সভায় এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

    ডা. দীপু মনি বলেন, ‘নারী সবচেয়ে বেশি দায়িত্বশীল। রান্না করবে কে–নারী। সেলাই করবে কে–নারী। ঘর ধোয়ামোছা করবে কে–নারী। কিন্তু যখনই এর সঙ্গে অর্থপ্রাপ্তি যোগ হয়, তখন দর্জি পুরুষ, বাবুর্চি পুরুষ এবং ক্লিনারও পুরুষ। যে কাজ আর্থিক সংশ্লেষ ছাড়া করা হয়, সেটি নারীর কাজ। আর অর্থ যোগ হলেই তা পুরুষের। এটি সমাজের তৈরি করা।’

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাকরিতে অনেক জায়গায় দেখছি নারী। ’৭২-এর সংবিধানে নারীর সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আজ যারা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করেন, সেখানেও ক্ষমতায়নে নারীর অবস্থান তৈরি হয়নি। এটি সত্য, আমাদের প্রধানমন্ত্রী, সংসদ উপনেতা, স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা নারী। অথচ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় নারীর অবস্থান এখনো কম। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এত বিশাল। আমি মন্ত্রী, মাঠপর্যায়ে অনেক শিক্ষক আছেন নারী। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় নারী খুব কম।’

    নারীর অধিকার ও রাজনীতি প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যে রাজনীতি মানুষের স্বীকিৃত দেয় না, মানুষের অধিকারের স্বীকিৃতি দেয় না, নারীর মানবাধিকারের স্বীকৃতি দেয় না–সেই রাজনীতির কী দরকার? যারা যুদ্ধপরাধ করেছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, নারী নির্যযাতন করেছে যারা সেই অপরাধীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, নারীর অধিকার লঙ্ঘন করার সমস্ত কায়দাকানুন তাদের মাধ্যমেই হবে। তাহলে নারী কেন সেই রাজনীতিকে সমর্থন দেবে?’

    রাজনীতির বাইরে কোনো মানুষ নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সকালবেলা কল চালালে পানি আসে। এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। আমার বাচ্চটি স্কুলে পড়তে যায়, সেটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। আমার খাবার আসে, সেটিও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ফল। অনেকের এ রকম ধারণা আছে—‘আমি রাজনীতিতে থাকি না বাবা’। কিন্তু আমরা যা কিছু করছি তার সব সিদ্ধান্তই নিচ্ছে রাজনীতির মাধ্যমে।’

    তিনি বলেন, ‘আমি যদি রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে রাখি, যদি ভাবি আমি ওর কাছে যাব না। তার মানে হচ্ছে, আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি না। আমি সচেতন নই। তবে সবাইকে রাজনৈতিক দল করতে হবে এমন নয়। তবে রাজনীতিসচেতন হতে হবে। দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। সেই নারীকে নিজের স্বার্থে শতভাগ জনগণের স্বার্থে সেই রাজনীতিকে বেছে নিতে হবে, যে রাজনীতি নারীর পক্ষে, মানুষের পক্ষে। যে রাজনৈতিক দল অসাম্প্রদায়িক, সেই রাজনীতিই বেছে নিতে হবে। আজ ২০২২ সালের যে বাংলাদেশ পেয়েছি, তা এগিয়ে নিতে হবে বহুদূর।’

    মন্ত্রী  বলেন, “বাংলাদেশ থেকে এবং পুরো পৃথিবী থেকে নারীর প্রতি সহিংসতা দূর করতে হবে।  সামাজিক, সাংস্কৃতিক,  ধর্মীয় রীতিনীতিতে একজন নারীকে  অসংখ্য  ‘না’-এর মাঝে বেড়ে উঠতে হয়। এত বেশি ‘না’ ‘না’ শুনতে শুনতে একজন নারীর চারপাশে একটি শক্ত দেওয়াল তৈরি হয়। এটি ভেঙে বের হওয়াই তো একজন নারীর জন্য শক্ত যুদ্ধ। অধিকাংশ মেয়ে দেওয়ালটা ভেঙে বের হতে পারে না। দেওয়ালটাকে ভাঙার জন্য নারীকে সাহস জোগাতে হবে। নারীকে তার অন্তর্নিহিত শক্তিটাকে উপলব্ধি করতে হবে। সেই শক্তি দিয়ে নারীকে সব পেতে হবে।”
    Array
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৪:২৭
    জোহর ১২:০৫
    আসর ৪:২৯
    মাগরিব ৬:২০
    ইশা ৭:৩৫
    সূর্যাস্ত: ৬:২০ সূর্যোদয় : ৫:৪২

    আর্কাইভ

    August 2022
    M T W T F S S
    1234567
    891011121314
    15161718192021
    22232425262728
    293031