গতবারের বিশ্বকাপের শিরোপাধারী ইংল্যান্ড। তারকায় পূর্ণ এই দলটি এবারের বিশ্বকাপেও ভালো করবে, এমন ধারণা ছিল অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের। কিন্তু একের পর এক হারে শুরুতেই ধাক্কা খায় তাদের বিশ্বকাপ মিশন। তার সেই হতাশার কফিনে আজ শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
শুরুতে ব্যাট করে একশ বল বাকি থাকতে ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪৬ বল বাকি থাকতে দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় শ্রীলঙ্কা।
ইনিংসের শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ওভারে ব্যক্তিগত পাঁচ রানে কুশল পেরেরা প্যাভিলিয়নে ফেরার পর ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ২৩ রানের মাথায় ফিরে যান লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। দুটি উইকেটই নেন ডেভিড উইলি।
এ সময় লঙ্কানদের চেপে ধরে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। কিন্তু ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও চারে নামা সাদিরা সামারাবিক্রমার ব্যাটিং দৃঢ়তার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন ইংলিশ বোলাররা। এই দুই ব্যাটারের অপরাজিত ১৩৭ রানের জুটির ওপর ভর করে সহজেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করতে সক্ষম হয় ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
পাথুম নিশাঙ্কা ৭৭ ও সামারাবিক্রমা ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
এ জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচে দুই জয় নিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দৌঁড়ে কাগজে-কলমে এখনও টিকে রইল শ্রীলঙ্কা। তবে পরের চার ম্যাচই জিততে হবে তাদের। আর পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটিতে জিতে কার্যত সেমির দৌঁড় থেকে ছিটকে গেছে ইংল্যান্ড।
এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে জস বাটলার অ্যান্ড কোং। দেখেশুনে ব্যাট চালিয়ে ইংল্যান্ডকে ভালো শুরুও এনে দিয়েছিলেন জনি বেয়ারস্টো ও ডাউইড মালান।
তবে সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে মালানকে ফেরান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। দীর্ঘ ৪৪ মাস পর একদিনের ক্রিকেটে প্রথম বল হাতে নিয়েই সাফল্য পান শ্রীলঙ্কার সাবেক এই অধিনায়ক। ২৫ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ২৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন মালান। এর ফলে ৪৫ রানের মাথায় ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
এরপর ইংল্যান্ডের আর কোনো জুটি বড় হতে দেননি লঙ্কান বোলাররা। এর মাঝে জনি বেয়ারস্টো করেন ৩১ বলে ৩০ রান। ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিলের মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি বেন স্টোকস। ৪৩ রান করে তাকেও ফিরতে হয়।
ফলে ৩৩.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান করতে সমর্থ হয় ইংল্যান্ড। বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন শ্রীলঙ্কার লাহিরু কুমারা। দুটি করে উইকেটের দেখা পান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথ্যুস ও কাসুন রাজিথা।
ইংলিশ মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন লাহিরু কুমারা।
Array